Description
বিসমিল্লহির রাহমানির রাহিম
মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা করবো রাইট জৈব সার ব্যবহার করবো
রাইট জৈব সার
“মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে, অধিক ফলনে সহায়তা করে”
প্রতি কেজি মূল্য: ৩০/- টাকা
দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি ও খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য স্বল্প জমিতে অধিক ফসল উৎপাদন অবশ্যক। আমরা জানি উর্বর মাটি অধিক ফলনের পূর্বশর্ত। কারণ উর্বর মাটি গাছকে সহযোগিতা করে ফিল্টারকৃত পানি, গাছের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান, উপকারী ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য বালাই নাশক কার্যকারী উপাদান সর্বাহের মাধ্যমে। মূলত এর সব কিছুরই চালিকা শক্তি হলো মাটিতে থাকা জৈব উপাদানের পরিমাণের উপর এবং এর পরিমাণ নূন্যতম ৫% অত্যাবশ্যক। বাস্ততে আমাদের দেশের অধিকাংশ আবাদি জমিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ ১% (শতকরা ১ ভাগ) এর নিচে নেমে গেছে। এর মূল করাণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে দীর্ঘদিন অপরিকল্পিকত এবং মাত্রা অতিরিক্ত রাসায়নিক সারের ব্যবহারকে। সুতরাং মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা করে অধিক ফলন পাওয়ার জন্য জৈব বা কম্পোস্ট সারের ব্যবহার অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। অন্যথায় উর্বর মাটির অভাবে একদিকে যেমন ব্যাহত হবে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন তেমনি অন্য দিকে দেখা দিবে নিত্য নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব। তাই মাটির স্বাস্থ্য পুষ্টিমান রক্ষার জন্য “রাইট অর্গানিক্স” নিয়ে এলো আধুনিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত ট্রাইকোডার্মা ও ল্যাকটিক এসিড ব্যাকটেরিয়া সমৃদ্ধ একটি সুষম জৈব সার।
“রাইট অর্গানিক্স” এর তত্ত¡াবধানে উৎপাদিত জৈব সারে বিভিন্ন জৈব উপাদান সংগ্রহ করে নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে অভিজ্ঞ টেকনেশিয়ান দ্বারা জৈব উপাদান গুলোকে স্তরে স্তরে সাজিয়ে প্রতিস্তরে ট্রাইকোডার্মা ও ল্যাকটিক এসিড ব্যাকটেরিয়া মোলাসেস বা চিটাগুড়ের সাথে মিশিয়ে দ্রবণ তৈরী করি করে স্প্রে করা হয়। ট্রাইকোডার্মা ও ল্যাকটিক এসিড ব্যাকটেরিয়া জৈব উপাদান গুলোকে তার আঁশসহ দ্রত পঁচাতে সাহায্য করে। এর পর প্রস্তুতকৃত পিটকে নির্ধারিত সময় অন্তর অন্তর ভালোভাবে ওলট-পালট করে পুনরায় ট্রাইকোডার্মা ও ল্যাকটিক এসিড ব্যাকটেরিয়া স্প্রে করা হয়। এভাবে ২-৩ বার ওলট-পালট করার পর পিটটি যখন সার হিসেবে উপযোগী হয় তখন তা আমাদের অত্যাধুনিক মেশিনে ক্রাশিং ও নেটিং করে ওজন সাপেক্ষে প্যাকেটজাত করা হয়।
আমরা কেন রাইট জৈব সার ব্যবহার করবো:
(১) নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের গ্রহণ উপযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে সাধারণ জৈব সারের চেয়ে অনেক গুন বেশি পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে।
(২) রাইট জৈব সার সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করলে ২৫-৫০ ভাগ পর্যন্ত রাসায়নিক সার কম লাগে।
(৩) ট্রাইকোডার্মা ও ল্যাকটিক এসিড ব্যাকটেরিয়া সমৃদ্ধ থাকায় রাসায়নিক সারের কার্যকারিতা অনেকগুন বৃদ্ধি করে।
(৪) মাটির জৈব উপাদানের পরিমান ও মাটির উর্বরতা শাক্তি বাড়াতে অধিক কার্যকরি।
(৫) মাটিতে হিউমাসের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং ফসলের খাদ্য ভান্ডারে পরিণত করে। ।
(৬) গাছ সহজেই পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করতে পারে।
(৭) পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
(৮) রাইট জৈব সার নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রয়োগ করায় কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। ফলে অল্প জমিতে কম খরচে অধিক ফলন পাওয়া যায়।
(৯) মাটির ক্ষারত্ব/অ¤øত্ব কমায় এবং উপকারী অনুজীবের সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
(১০) গাছ সকল পুষ্টি উপাদান সহজেই গ্রহণ করতে পারে।
(১১) ফল-মূল ও শাক-সবজির স্বাদ ও পুষ্টিমান বৃদ্ধি করে।
জৈব সার ব্যবহারে মাটির উর্বরতা বাড়ে। এতে ফসলের প্রধান খাদ্য নাইট্রোজেন,ফসফরাস, পটাশিয়াম ও অন্যান্য খাদ্য উপাদান থাকে ফলে অণুখাদ্যের ঘাটতিও পূরণ হয়। মাটির গঠন ও গুণাগুণ উন্নত করে। বেলে মাটি সরস হয়, পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ে, তাছাড়া এঁটেল মাটিকে কিছুটা দো-আঁশ ভাবাপন্ন করে ফসল জন্মানোর অধিক উপযোগী করে তোলে।
Reviews
There are no reviews yet.